থামছেইনা সাবেক সেনা সদস্য রফিকুলের যৌন অপরাধ, রেহাই পেলনা ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীও

হাবিবুল বারি হাবিব : অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম ব্যাঙ । এলাকায় নারীদের জন্য যেন এক আতঙ্কের নাম । রাস্তা দিয়ে হাঁটলেই তার লোলুপ দৃষ্টি ও নোংরা লালসা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হিমশিম খেতে হয় নারীদের । সর্বশেষ ১১ বছর বয়সী ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী মুন্নি খাতুনও রেহাই পেল না চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর নাককাটিতলা পিরগাছি গ্রামের আলহাজ্ব ভুলু আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ব্যাঙের যৌন আক্রমণ থেকে । ভুক্তভোগী মুন্নির মা কারিমা বেগম এবং এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ১০ টার দিকে একই এলাকার বাবু আলীর ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে রেখে তার স্ত্রী কারিমা বেগম এক এনজিও থেকে ঋণ নিতে বাইরে বের হয় । কিন্তু আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা রফিকুল মুন্নিকে বাড়িতে একা থাকতে দেখে ঢুকে পড়ে এবং বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে । ১১ বছর বয়সী মুন্নি কাঁদতে থাকলে তার হাতে ২০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় রফিকুল । পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার অন্য আরেকজন মহিলা তাকে দেখলেও ভয়ে কিছু বলতে পারে নি । এরপর তার মা বাড়িতে এসে মেয়েকে ভীত অবস্থায় কাঁদতে দেখে জিজ্ঞেস করলে ঘটনা জানতে পারে । এরপর এলাকাবাসীর নিকট জানাজানি হলে এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে যায় সাবেক এই সেনা সদস্য রফিকুল । এর আগেও নিজের পূত্রবধু ও ভাগ্নির সাথেও এমন যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়েছে এই রফিকুল বলে জানায় এলাকাবাসী । বর্তমানে পলাতক রয়েছে সে । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মুন্নির বাবা বাবু আলী বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে । ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুলের স্ত্রী এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি । অভিযুক্ত রফিকুলের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার এসআই মো: হাসান আলী বলেন, ঘটনার দিনই ভুক্তভোগী মুন্নির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । আসামী রফিকুল বর্তমানে পলাতক রয়েছে, আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য তৎপর রয়েছি । এদিকে বারবার এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার অপরাধে পলাতক রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী । বাড়ির বাইরে বের হলেই এই রফিকুল ইসলামের যৌন হয়রানির ভয়ে নিজেদের অনিরাপদ বলে মনে করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নারীরা ।